গরু, উট আর ছাগলের ভিড়ে এবার কোরবানির পশুর হাটে নতুন সংযোজন মরু অঞ্চলের পশু দুম্বা। জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে গড়ে উঠেছে এই দুম্বার খামার। এবার কোরবানির হাটে দুম্বা এলাকার মানুষের কৌতূহল ও আগ্রহের জায়গা করে নিয়েছে।
বোচাগঞ্জ উপজেলার জহুরা অ্যাগ্রো ফার্মের ম্যানেজার মো. লোকমান আলী বলেন, প্রতিবারের মত এবারও আমাদের খামারের বেশ কিছু দুম্বা কোরবানির হাটে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এবার দুম্বার সংখ্যা অন্যান্য বারের তুলনায় বেশি।লোকমান আলী জানান, পাঁচ বছর আগে জহুরা অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মো. আব্দুল হান্নান শখের বশে ভারতের রাজস্থান থেকে ছয়টি দুম্বা এনেছিলেন। ওই ছয়টি দুম্বা জহুরা অ্যাগ্রো ফার্মে পরম যত্নে লালন পালন করা হয়।
দুম্বাগুলো ফার্মে বাচ্চা দিতে শুরু করে। বর্তমানে তার খামারে ৬৭ টি দুম্বা রয়েছে। এর মধ্যে এবার কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ৪২ টি দুম্বা প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে কয়েকটি গতকাল রোববার বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ হাটে বিক্রির জন্য নেয়া হয়েছিল। পবিত্র ঈদুল আযহায় কোরবানির জন্য গ্রাহকদের মধ্যে দুম্বা ক্রয়ের আগ্রহ দেখা গেছে।তিনি বলেন, মরু অঞ্চলের প্রাণী দুম্বা সঠিক ভাবে পরিচর্যা করলে, যে কোন দেশে যে কোন জায়গায় খামার করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। বোচাগঞ্জ উপজেলার আব্দুল হান্নান শিল্পাঞ্চলের রামদাসপাড়ায় গড়ে ওঠা মেসার্স জহুরা অ্যাগ্রো ফার্মের তত্ত্বাবধানে দুম্বার খামারটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই দুম্বার খামারটি এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।
জহুরা অ্যাগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুল হান্নান জানান, তার খামারের দুম্বার ওজন ৪০ কেজি থেকে ৬০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এসব দুম্বা ওজন ভেদে ৭৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন ক্রেতারা খামার থেকেই দুম্বা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহার কোরবানির হাটে আমার খামারের দুম্বা তুলেছি। ইচ্ছে করলেই যে কেউ আমার খামারে এসে কোরবানির জন্য দুম্বা কিনতে পারবেন।
বোচাগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু কায়েস বিন আজিজ জানান, মরু অঞ্চলের এসব প্রাণী যে কোন পরিবেশে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে লালন পালন করা সম্ভব। অনেকেই এটাকে বাণিজ্যিক ভাবে নিতে পারেন। বোচাগঞ্জের দুম্বার খামারটি অত্র এলাকার মানুষের কাছে একটি ব্যতিক্রমী খামার হিসেবে নজর কেড়েছে।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
